তিনি জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির দিনাজপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে সেতুটি পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া এ সেতু নিয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৬৭-৬৮ অর্থবছরে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম সলিমুদ্দিন সেতুটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন সংস্কার ও মেরামত না করায় সেতুর বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট-বালি খসে পড়েছে এবং রড বের হয়ে গেছে। একাধিক স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপরও সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে।
৪ নম্বর ইউপি সদস্য মো. খবিরুল ইসলাম জানান, সেতুটির প্রশস্ততা কম থাকায় শুরু থেকেই বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ধান, পাট, তামাক, সরিষাসহ অন্য জিনিস ছোট ট্রলি, টেম্পো কিংবা রিকশা-ভ্যানে করে হাটবাজারে নিতে হয়। এ ছাড়া ইট, বালি ও সিমেন্ট ট্রাক্টরের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হলে দিনাজপুরসহ গোটা দেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হতো। নবাবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এই সেতুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই সেতুর পুনর্নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।